স্টাফ করসপনডেন্ট
জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উপ সচিব রাসেল সাবরিন বলেছেন, আমাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় অবকাঠামো উন্নয়ন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়লেও শিক্ষার মান কাংখিত পর্যায়ে পৌছেনি। সব সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও অভিভাবকরা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দিকে ঝুকছে। যেকোন মূল্যে আমাদের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে শিশুদের পাঠদান করতে শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান।
বৃহস্পতিবার জামালপুর সদর উপজেলার প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দান কালে এই আহবান জানান। এসময় তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমাদের অনেক মেধাবী শিক্ষক যেমন রয়েছে তেমনী অদক্ষ শিক্ষকও রয়েছে। যেসব শিক্ষক পাঠদানে দুর্বল তাদের চিহ্নিত করে তাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন তিনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিকীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিক জামান, মার্চেন্ট একাডেমী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশায়েদা বেগম। অনুষ্ঠানে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও সদর উপজেলার ২৪৪ জন প্রধান শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রাসেল সাবরিন ব্যক্তিগত ভাবে পিএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করায় ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৫ জন প্রধান শিক্ষককে পুরুষ্কার প্রদান করেন।
পুরুষ্কার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা হলেন শ্রীরামপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন, ফুলবাড়িয়া জগবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুর্শেদা সিদ্দিকা, মাদারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান,মার্চেন্ট একাডেমীর সহকারী শিক্ষক সাবেরা সুলতানা, উত্তর আরংহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আসাদ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে সিংহজানি কাচারীপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,কলাবাধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাসিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টিকরাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ফুলবাড়িয়া কলিমুল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।