স্টাফ করসপনডেন্ট
জামালপুর সদরের ইটাইল ইউনিয়নের দেবের বাজার এলাকায় ১৩ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পীরগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা বিহারীর ছেলে আল-আমীন (২২) কে স্থানীয় এলাকাবাসী আটক করে শনিবার সকালে নরুন্দি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার আনুমানিক রাত ১১ টার সময় শৈলের কান্দা এলাকার মুন্সি বাড়ীর আকরাম হোসেন এর ১৩ বছর বয়সী কন্যাকে জোড়পূর্বক তার বাড়ী থেকে কিছু দুরে নির্জন এলাকায় নিয়ে যায় রিপন মিয়া, নূর আলী ও আল আমীন। পরে সেখানে রিপন মিয়া কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
কিশোরীর পিতা আকরাম হোসেন জানান, আমার কন্যাকে রিপন ও তার বন্ধুরা মিলে জোড়পূর্বক বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে সেখানে রিপন আমার কন্যাকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় আমার কন্যার ডাক চিৎকারে আমরা সেখানে ছুটে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করি এবং আল-আমীনকে আটক করি। আমাদের অবস্থান টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও রিপন এর বন্ধু আল-আমীনকে হাতে নাতে ধরে ফেলি। পালাতকরা হলো চকপাড়ার বাসিন্দা তুতা মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া, কচুয়ার পাড় তরফদার পাড়ার বাসিন্দা কেতু মিয়ার ছেলে নূর আলী।
পরে সকালে আল-আমীনকে স্থানীয় এলকাবাসীর সহযোগীতায় নরুন্দি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। নরুন্দি তদন্ত কেন্দ্রের এস আই আবুল কালাম বলেন, ইটাইল ইউনিয়নের দেবের বাজার এলাকায় এক কিশোরী ধর্ষণ হয়েছে এবং এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী এমন খবরের ভিত্তিতে শনিবার সকালে আমরা সেখানে যাই। স্থানীয় এলাকাবাসী আমাদের হাতে আল-আমীনকে তুলে দেয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান। রিপন মিয়া এর আগেও এলাকার নিরীহ ও অসহায় দরিদ্র ঘরের মেয়েদের সরলতার সুযোগ নিয়ে আরো ৩টি মেয়েকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেছে বলে এলাকাবাসী জানায়। রিপনের বাবা প্রতাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি ভূক্তভোগীর পরিবার। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন ঘটনার সঠিক বিচার দাবী করেছেন ভূক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী।